অমরেশ দত্ত :১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল অমৃতসরের “জ্বালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকান্ড” পৃথিবীর ইতিহাসে একটি কলঙ্কময় দিন। সেদিন কুখ্যাত রাউলাট আইনের প্রতিবাদে সমবেত জনতার ওপর জেনারেল ডায়ারের নেতৃত্বে গুলিবর্ষণের কারনে শহীদ হয়েছিলেন অগনিত ভারতবাসী। সেইসব শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে পুরুলিয়া জেলার গান্ধীবাদী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মাঝিহিড়া আশ্রম প্রতিবছরের মত এবছরও ৬ থেকে ১৩ এপ্রিল আয়োজন করেছে “জাতীয় সপ্তাহ” উদযাপন। সাফাই,গ্রামসাফাই,স্বাধীনতা সংগ্রামীদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রভৃতির মাধ্যমে নানান কর্মসূচি পালিত হয় এই সাতদিন ব্যাপী। আজ ষষ্ঠ দিনে তাদের নির্দিষ্ট কর্মসূচি ছিল মানবাজার -২ র অন্তর্গত বারি হাসপাতাল ও মানবাজার -১ র অন্তর্গত কুদা হাসপাতাল সাফাই ও রোগীদের ফল মিষ্টি বিতরন। উভয় হাসপাতালে প্রায় দেড় শতাধিক করে ছাত্র ছাত্রী, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী মিলে সাফল্যের সঙ্গে সুচারুভাবে তারা কর্মসূচিটি রূপায়ণ করে। বারি হাসপাতালের এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বান্দোয়ান বিধানসভার বিধায়ক তথা পুরুলিয়া জেলার প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মাননীয় রাজীব লোচন সরেন, পুরুলিয়া জেলা পূর্ত্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষ মাননীয় হংসেশ্বর মাহাত, জেলা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ কর্মাধ্যক্ষ মাননীয়া প্রতিমা সরেন, মানবাজার ২নং পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী মাননীয়া বাসন্তী মাহাত, বারি-জাগদা গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান মাননীয়া সুশীলা সরেন প্রমুখ। সাফাই কর্মসূচিটির উদ্বোধন করেন মাননীয় হংসেশ্বর মাহাত। উদ্যোক্তা ও ছাত্র ছাত্রীদের সঙ্গে হাতে হাত লাগিয়ে সমস্ত অতিথিরাও এই জনসেবা মূলক কাজে অংশীদার হয়ে ওঠেন। রোগীদের হাতে ফল মিষ্টির প্যাকেট দিয়ে দ্বিতীয় কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মাননীয় বিধায়ক তথা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান মাননীয় রাজীব লোচন সরেন মহাশয়। আজকের প্রায় মুল্যবোধ হীনতার সময়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের এ হেন কর্মসূচিকে বাহবা জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সহ স্থানীয় এলাকার মানুষ।